Banglarnetro
Dr. Neem Hakim

নেত্রকোণায় জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিক মুল্যবোধের চর্চার তাগিদ


বাংলার নেত্র প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫, ৪:৩৭ অপরাহ্ণ /
নেত্রকোণায় জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিক মুল্যবোধের চর্চার তাগিদ

স্টাফ রির্পোটার : বেসরকারী সংগঠন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ আয়োজিত সেমিনারে আলোচকবৃন্দ জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠায় বৈচিত্রতা, সহনশীলতা ও গণতান্ত্রিক মুল্যবোধ বিষয়ে চর্চা করার জন্য নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে “ জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠায় বৈচিত্র, সহনশীলতা ও গণতান্ত্রিক মুল্যবোধ” বিষয়ক এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ নেত্রকোণা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মৃনাল কান্তি চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও পরিচালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ রাফিকুজ্জান। অনলাইনে যুক্ত হয়ে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পরিচালক শাহনাজ সুমী। এতে বক্তব্য রাখেন, ইয়ূথ গ্রুপ প্রতিনিধি রিতু ইসলাম এবং ধারনাপত্র পাঠ করেন সভাপতি মৃনাল কান্তি চক্রবর্তী।

ধারনা পত্র পাঠের পর মুল বিষয়ে আলোচনা করেন, নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড.আনিছা পারভীন জলী, চন্দ্রনাথ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ার হাসান, তেলিগাতী ডিগ্রী কলেজ এর প্রভাষক প্রাবন্ধিক পূরবী সম্মানিত, জেলা ক্লাবের সদস্য সচিব মাহবুবুল কিবরিয়া চৌধুরী হেলিম ও বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ বারহাট্টা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক সুরজিত ভৌমিক।

আলোচকরা বলেন, স্বাধীকার আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ সহ ২৪ এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সকল পর্যায়ে নারীর অবদান পুরুষের তুলনায় কোন অংশেই কম ছিল না । কিন্তু প্রতিবারই নারীকে পরবর্তীতে ভূলে যেতে দেখি। নারীর ইতিহাস যত্নের সাথে লিখে রাখতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান, মানবাধিকার সনদ, সিডো সনদ সহ সকল ক্ষেত্রে নারীর সমতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় হলো যে বাস্তবায়নের গতি খুব ধীর। আগামী দিনের রাষ্ট্রের কান্ডারী হিসেবে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। বিশেষ করে নারী-পুরুষ, ধনী-দারিদ্র,ধর্ম, জাতি, পেশা সহ সকল ক্ষেত্রে বিরাজমান বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং পরিবার ও সমাজের বৈচিত্রতাকে মেনে নিতে হবে বা মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা পরিবর্তন করে নারী পুরুষকে আলাদা করে না দেখে সকলকে মানুষ হিসেবে দেখলেই জেন্ডার সমতা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। আর এসব ক্ষেত্রে পরিবার সমাজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ রাষ্ট্রের দায়িত্ব্শীল ভুমিকা আবশ্যক বলে আলোচকবৃন্দ মনে করেন।

বিষয়ভিত্তিক আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষ হতে অভিমত ব্যক্ত করেন হাফসা ইসলাম মোহ, আজহারুল ইসলাম রিফাত, দীপ ঘোষ ও ফজলু মিয়া। সমাপনী বক্তব্যে নারী প্রগতি সংঘের পরিচালক শাহনাজ সুমী সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আজকের আলোচিত বিষয়গুলো শিক্ষার্থীবৃন্দ নিজেদের সহপাঠী, বন্ধু বান্ধব সহ পরিবারে ছড়িয়ে দিবে এবং বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সকলে গণতান্ত্রিক মুল্যবোধ চর্চার মাধ্যমে জেন্ডার সমতার পথকে মসুণ করবে বলে আমি বিশ^াস করি।

সারাদেশ বিভাগের আরো খবর

আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর