মাহমুদ সীমান্ত’র একগুচ্ছ ছড়া-কবিতার খেলা
*****
অবাক দেশের খেলা
——
আজব দেশের মানুষ আমরা
আজব জারিজুরি
দেশের শিক্ষা দুমড়ে মুছড়ে
চলছে বাহাদুরি।
রাজনীতিতে ঢুকে গেছে
রাজনীতিরই সিতা
সহিংসতায় অবাক মানুষ
দেশটাকে তাই বলে যাচ্ছে যা তা।
বাড়লে বেতন লাখ হিসাবে
ভাই আছে না দলে?
পদের মেয়াদ পূর্তিতে নয়
হচ্ছে ছলে বলে।
সংসদের বিলুপ্তি আজ
তুড়ি মারার খেলা
যত দ্রুত ক্লোজ করা যায়
জনগণ লে হালা।
সকাল বেলা ঘুম ভেঙে কেউ
করে না আর পণ
দেশটাকে জাস্ট পুড়ে ফেলছে
দেশের জনগণ।
—
মগড়া এবং আষাঢ়
——
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে
বর্ষা চারিদিকে
মগড়া নদির বাকে।
আষাঢ় জলে ভাসা
খলবলানো মাছের জোয়ার
জলের ঘুর্নিপাকে
মগড়া নদির বাকে।
আকাশ বরফ সাঝে
কালো মেঘের ভাজে
সুর্য ছবি আকে
মগড়া নদির বাকে।
ফুল ফুটানো ফল ফলানো
হাওড় পাড়ের বাড়ি
গাছ গাছালির সারি
দারুন ছবি আকে
মগড়া নদির বাকে।
মগড়া এবং আষাঢ়
কলার ভেলায় ভাসার
দিনগুলি খুব মনে পড়ে
সুর্যাস্তেও দমের খেলা
দম ফাটিয়ে নাকে
মগড়া নদির বাকে।
—-
দেশের পাখি
——
খাচায় পোষা একটি পাখি
অবমুক্ত হবে
দুধ আর কলা খায় না তো সে
নিতিদিন ভাবের মধ্যে থাকে।
শালিক, দোয়েল, ময়না ডাকে
কোকিল, বনের শেমা
মিলছে না তার কোন সাড়া
পাখিটা খাচায় তিলোত্তমা।
পাখির রাজ্যে মাতামাতি
ভিড় বেড়েছে অপেক্ষাতে
ভাবছে সবাই, আহা! কার কি হবে?
ভাবের পাখির কিছুই হয় না
কারো কথায় পোষ মানে না
সে এক বোকাসোকা
আর কিছু নয়, ভালো লাগে তার
খাচার গন্ধ শুকা।
খাচার পাখি খাচায় সুন্দর
শিশুরা মায়ের কোলে
যে যেখানে আছি সবাই
কাজ হতো খুব, দেশের স্মার্টি হলে।
—
ক্ষুদে টিয়েনা জিসা
——
ভাষার মানুষ যুদ্ধ প্রবন
ভাষার বাসা কম
ভাষার খেলায় জিতবে এবার
বাংলাদেশি টম।
বাংলা আমার মাতৃভাষা
বাংলা প্রথম সূক্ষ্ণ
বিশ্বটাকে বাংলা দিতে
ইংরেজিটাই মুখ্য।
ভাষার গাড়ি চলবে সোজা
ভাষার ভালোবাসা
ভাষার বাসায় মগ্ন এবার
ক্ষুদে টিয়েনা জিসা।
—–
স্বার্থ
——
স্বার্থটা খুলে দিলে
হিনকাজ করে জয়
শুক্রবার, শনিবার
সবখানে মহাশয়!
দেশ ভেবে হিতঙ্কর
কোনখানে দেখি না
শিক্ষা আর জ্ঞানে ব্রত
নবোদয় হয় না।
কুকর্মের মনযোগ
শরিরটা ভাসিয়ে
স্বপ্নকে জোর লাগা
অসত্য এগিয়ে।
চারিদিকে পোশাকের
ঝকমারি সলুকে
সত্যের ঢাকা মুখ
মিথ্যার আলোকে।
হলো তাও, কি হয়েছে
উপায়টা খুঁজে নাও
সদাশয় বলি রোজ
ভালো কাজ করে যাও।
——
যুগের হাওয়া গেলে
——
ঋতু চিনতে তোমরা এখন
করো না আর ভুল
ঋতুর হাওয়া বদলে যাচ্ছে
শরত এখন বর্ষা হচ্ছে
আষাঢ়, শ্রাবন, ভাদ্র গিয়ে
আশ্বিন আর কার্তিকে হয়
বৃস্টি হুলস্থূল।
আষাঢ়, শ্রাবন রৌদ্র খরা
পাকা তালের রসে
ভেবো না কি, ভাববে কখন?
ছেলেগুলো মেয়ে হচ্ছে
মেয়েগুলো ছেলে
আমরা সবাই টের পাচ্ছি
যুগের হাওয়া গেলে।
আপনার মতামত লিখুন :