বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণায় বৈষম্য দূরীকরণে মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবার। মঙ্গলবার সকালে ১১টার সময় নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোণা সদর আতকাপাড়া এম.এ.হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন খান, রেহেনা আক্তার খাতুন অধ্যক্ষ, লতিফা আব্বাছ মডেল মহিলা আলিম মাদ্রাসা, দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মুজিবুর রহমান আরো উপস্থিত ছিলেন জেলার মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা।
শিক্ষকদের বক্তব্যে বলেন, উন্নত আধুনিক গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে সুষম সুস্থ-পরিচ্ছন্ন মানবিক সমাজ গঠনের জন্য সার্বজনীন শিক্ষার গভির ও ব্যপক আয়োজন। প্রাথমিক শিক্ষা মৌলিক শিক্ষা।এই শিক্ষা সবাইকে গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা মানব সম্পদ সৃষ্টি করতে পারে না।
শুধু মাত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমেই জনসম্পদ সৃষ্টি হয় বলে উল্লেখ করে, আরও বলেন জুলাই -আগস্ট মাসের বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার বৈষম্য বিরোধী দেশ গড়ার যে স্বপ্ন আমাদের দেখিয়েছে তাতে আবারও নতুন করে স্বপ্ন দেখছি গতিশীল নেতৃত্বে মাধ্যমিক শিক্ষা আবার জেগে উঠবে। এবং দেশের মাধ্যমিক স্তরের ৯৭% প্রতিষ্ঠানেই বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলি জাতীয়করণ অত্যন্ত জরুরী। বর্তমানে সারা দেশে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ২০ হাজারের বেশি। এর মধ্যে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৬৮৪টি, বাকিগুলো বেসরকারি। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মাধ্যমিকে মোট শিক্ষার্থী ১ কোটি ১ লাখ ৯০ হাজার ২২। মোট শিক্ষক আছেন পৌনে তিন লাখের মতো। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অধিকাংশই এমপিওভুক্ত।এর মানে হলো এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে বেতনের মূল অংশসহ কিছু ভাতা পান। দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :