বিশেষ প্রতিনিধি. বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘ছাত্র অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। আমরা এখন একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধিতির মধ্য দিয়ে হাঁটছি। কিন্তু এই পতনের মধ্যেই যে আমাদের পথ কুসুমাস্তির্ণ বা সব বিজয় এসে গেছে তা ভাবার কারণ নেই। কারণ এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। আন্দোলনকে নস্তাৎ করার জন্য প্রশাসনের মধ্যে দিয়ে বা বিচার বিভাগে বা বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা রযেছে তারা ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনা ভারতে বসে থেকে ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) ভারতে বসে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের কল্পিত কাহিনী প্রচার করেছেন। ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগ আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের মন্দির, দোকানপাট ও বাসা বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। সেই সাথে এর দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেওয়ার পায়তারা করছে। কিন্তু এটা স্পষ্ট যে মানুষ তা বিশ্বাস করছে না। কারণ, বিএনপি কখনোই সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। আমরা ইতোমধ্যে পুরো দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের দিয়ে হিন্দু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের মন্দির বাসাবাড়ি ও দোকানপাট রক্ষার জন্য পাহারা বসিয়েছি।
সোমবার বিকেলে নেত্রকোণা সদর উপজেলার নন্দীপুর গ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত রমজান আলীর কবর জিয়াতর শেষে পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক চিকিৎসক আনোয়ারুল হক, সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডক্টর মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম মনিরুজ্জামান দুদু, জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের তালুকদার, জেলা কৃষক দলের সভাপতি সালাউদ্দিন খান মিলকী, জেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন খান ওরফে রনি, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সারোয়ার আলম ওরফে এলিন, সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুবু চৌধুরী প্রমুখ। এর আগে তিনি মদনপুর হযরত শাহ সুলতান কমর উদ্দিন (রা.) মাজার জিয়ারত করে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়ও অজ্ঞাত স্থান থেকে ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। জয় বলছেন তার মা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। তিনি এখনো প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এটা শেখ হাসিনার মনোনীত রাষ্ট্রপতি ও সেনা প্রধান নিজেই সেটা বলেছেন। কিন্ত ‘ জয়ের এ কথা বলার পরই আমরা দেখলাম বিচার বিভাগের মধ্য দিয়ে একটা ক্লু করার ষড়যন্ত্র পযন্ত হয়েছিল। সেটা ছাত্রজনতা নস্যাৎ করে দিয়েছেন। এই নিকৃষ্ট সৈরাচারকে আর ফিরত আনতে বাংলার মানুষ দেবে না।’
সৈয়দ এমরান সালেহ আরো বলেন, বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের ও দেশবাসীর পূর্ণ আস্থা, সমর্থন ও ভালোবাসা রয়েছে। এই সরকার আওয়ামী লীগের রেখে যাওয়া জঞ্জাল পরিষ্কার করে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিবে বলে আমাদের বিশ্বাস। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তার প্রতিনিধি খুঁজে পাবে এবং সেই জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের যে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলেছে, সেই ভেঙে ফেলা রাষ্ট্রকে মেরামত করে জনগণকে সুখী সমৃদ্ধশালী ও শোষণমুক্ত সমাজ উপহার দিবে।
আপনার মতামত লিখুন :