বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার বাউসী বাজার এলাকায় শিক্ষার্থীকে উক্তোক্ত করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠেছে এক বখাটের কিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর ওইদিন বিষপানে আত্মহত্যা করে ভুক্তভোগি শিক্ষার্থী। বখাটের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে বৃহষ্পতিবার বিকেলে বাউসী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী, নিহত ইতির বড় ভাই ও মামলার বাদি রুহুল আমিন, মা নাছিমা বেগম, বোন সেফু আক্তার, রুপা বর্মণ, আলপনা বেগম প্রমুখ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জেলার বারহাট্টা উপজেলার দত্তখিলা গ্রামের মৃত দুলাল মিয়ার নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে ইতি আক্তারকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে উক্তোক্ত করতো একই এলাকার ডহরপাড়া গ্রামের মৃত লিটন মিয়ার ছেলে বখাটে আকাশ হোসেন অন্তর। ওই শিক্ষার্থীকে গত ২০ জুলাই প্রাইভেট পড়ে যাওয়া আসার পথে স্থানীয় এক ব্যক্তির ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বখাটে অন্তর। পরে ওইদিন বাড়িতে গিয়ে কীটনাশক বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ইতি আক্তার। এসময় বিষযটি টের পেয়ে ইতিকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২২ জুলাই সে মারা যায়।
এঘটনায় নিহত ইতির বড় ভাই রুহুল আমিন বাদি হয়ে বারহাট্টা থানায় গত ২৩ জুলাই একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
ইতির বড় ভাই রুহুল আমিন বলেন, ‘আমার বোনকে স্কুলে যাওয়ার পথে প্রতিদিন বখাটে অন্তর উত্তোক্ত করতো। ওইদিন তাকে জোর করে ধর্ষণ করে। এঘটনা কাউকে না বলে সে কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে সে অসুস্থ অবস্থায় আমাদের সব ঘটনা বলেছে। আমি থানায় ধর্ষণ ও হত্যার প্ররোচণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছি। আমি ঘটনার চূড়ান্ত বিচার চাই।’
ইতির বড় বোন সেফু আক্তার ও মা নাছিমা বেগম বলেন, ইতিকে ধর্ষণ করেছে। এরপর সে ঘটনাটি কাউকে না বলে বিষ খেয়ে মরতে চেয়েছে। আমরা আসামীর ফাঁসি চাই।
বারহাট্টা মহিলা পরিষদের সম্পাদক নিলুফা সুলতানা ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক সুমনা জাহান বলেন, একবছর আগে এক বখাটে বারহাট্টায় মুক্তি বর্মণ নামে এক ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এখন আবার একই এলাকায় আরেক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে।আমরা এসব ঘটনার চূড়ান্ত বিচার চাই। দ্রুত দৃষ্টান্ত মূলক বিচার হলে আর এমন ঘটনা ঘটবে না। আমরা এর বিচার চাই।
বারহাট্টা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা অভিযুক্ত বখাটেকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছি। দ্রুত তাকে গ্রেফতার করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :