‘পূর্বধলায় বিল খননের নামে কোটি কোটি টাকার বালু ব্যবসা’ শিরোনামে একটি সংবাদ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদটিতে অসত্য তথ্য প্রচার করে বিভিন্ন মাধ্যম বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। সংবাদটিতে উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিতভাবে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দোষারোপ করা হয়েছে যা সত্য নয়। পূর্বধলা উপজেলা সেচ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন র্শীষক প্রকল্পে উত্তোলনকৃত মাটি প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করা হয়। যা সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন থেকে নিলাম বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। নিলামের সময় এলাকায় মাইকিং করে নিলামের বিষয়টি সর্বসাধারণকে অবহিত করে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হয়। যা স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন সরকারি নিয়মে কমিটি করে নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। নদী /খাল পুন:খনন এবং বিল ড্রেজিং কাজ সমুহ হতে খননকৃত/ড্রেজিংকৃত মাটি/বালি নিলাম প্রদান সংক্রান্ত কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তালিকায় বর্ণিত ২৩ টি নদী/খাল/বিলের উত্তোলিত ৭০ভাগ মাটি প্রকাশ্যে বিক্রয়পূর্বক রাজস্ব কোষাগারে জমা দেওয়া হয়। যাতে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। অথচ সংবাদটিতে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দায়ী করা হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
কৃষি কাজে সেচ সুবিধার স্বার্থে জেলার পূর্বধলা উপজেলার ধলামুলগাঁও ইউনিয়নের পাটলী গ্রামের সামনে থাকা ‘মরা গাং বিল’ নামে বিলটি খননের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় পাউবো। ৪৫০ মিটার দৈর্ঘ্য, ৯০ মিটার প্রস্থ ও ৩ মিটার গভীরতায় খনন করা হয়। এ কাজের বরাদ্দ ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কাজটি পায় চট্টগ্রামের ইউনি অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সাথে অনৈতিক যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের মানহানির চেষ্টা করা হয়েছে যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ভবিষ্যতে এধরণের মিথ্যা ও বিভ্রান্তির সংবাদ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা গেল। মো: আরিফুল হক, উপসহকারী প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড,নেত্রকোণা (বা/নে-৮৫/২৪)
আপনার মতামত লিখুন :