কলমাকান্দা প্রতিনিধি. একটি মামলায় আদালত থেকে জামিনে বের হয়েই নেত্রকোণার কলমাকান্দায় বাদীর বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে তার স্ত্রীসহ দুই নারীকে পিঠিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় একটি বসত ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় প্রেসক্লাবে এসে ভুক্তভোগী আব্দুল খালেক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আব্দুল খালেক লেংগুড়া ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে। এ নিয়ে রোববার রাতে আব্দুল খালেক বাদি হয়ে মো. নুর আলম (৫০), জিয়াসমিন (৩০), বজলুল করিম রতন (৫০), আমিনুল ইসলাম (৩৫), আমান উল্লাহ (৩৩) সাইফুল্লাহ (৩১) সহ ১২জনকে আসামী করে কলমাকান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরআগে শুক্রবার বিকেলে ভোক্তভোগী আব্দুল খালেকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
লিখিত অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জিগাতলা মৌজায় সাবেক ৩০ খতিয়ানে ১৮১ দাগে .৪৪ শতক জমি কেনেন আব্দুল খালেক। সেখানে তিনি একটি চৌচালা ঘর তৈরী করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। গত দু‘বছর ধরে জমিটি দখলে নিতে প্রতিবেশী মো. নুর আলমসহ তার লোকজন চেষ্ঠা চালায়। এ নিয়ে আব্দুল খালেক আদালতে একটি অভিযোগও দায়ের করেন। অভিযোগ করায় বিভিন্ন ঘটনায় আব্দুল খালেকদের ওপর অত্যাচার শুরু করে অভিযুক্তরা। পরে তিনি ২৩ মে কলমাকান্দা থানায় আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগটি তদন্ত করে নন.এফ.আই.আর মামলা নথিভুক্ত করে। এ মামলার ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ আদালতে পাঠান। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তরা জামিনে বের হয়েই শুক্রবার বিকেলে বাদী আব্দুল খালেকের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে। এসময় তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার, পুত্রবধু সাহানা আক্তারকে মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নুর আলম বলেন, আমরা কারও বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও মারধর করিনি। তিনি উল্টো অভিযোগ করেন খালেক তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানী করছেন।
কলমাকান্দা থানার ওসি (তদন্ত) মো. জালাল উদ্দিন বলেন, গত ২৩ মে আব্দুল খালেক প্রতিপক্ষের লোকজনের নামে মামলা করেন। এই মামলার ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার জামিনে বের হয়ে তারা বাদীর বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাংচুর ও তার স্ত্রীকে মারধর করে। এ নিয়ে গত রোববার রাতে আরেকটি মামলা করেন আব্দুল খালেক। এই মামলার ১জন আসামী ছাড়া বাকীরা জামিনে আছেন।
আপনার মতামত লিখুন :