স্টাফ রির্পোটার. নেত্রকোণার ১০টি থানার মধ্যে ৯টি থানার পুলিশ সদস্যরা কাজে যোগ দিয়েছেন। সেনা বাহিনীর সহায়তায় ওইসব থানার পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। শুধু মদন থানায় এখনো পুলিশ কর্তব্যকাজে যোগ দেয়নি। আর যে সব থানার কার্যক্রম চালু হয়েছে ওই থানার সামনে সেনা সদস্যরা টহল দিতে দেখা গেছে। কোন কোন থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের পর পর গত সোমবার বিকেল অনেক থানায় হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা-পুলিশের কাজে ব্যবহৃত কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল। একটি স্থানে অস্ত্র ও গুলি লুট হয়। এরপর জেলায় পুলিশি ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে। নবনিযুক্ত আইজিপির নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত জেলার নয়টি থানা, দুটি ফাঁড়ি ও পাঁচটি তদন্তকেন্দ্রে পুলিশ তাদের কর্তব্যকাজে যোগ দেয়। এরপর থেকে কার্যক্রম চালু করা হয়। তবে আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মদন থানায় কোন পুলিশ সদস্য কাজে যোগদান করেনি।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফুর রহমান বলেন, আজ শুক্রবার সকাল থেকে থানার কার্যক্রম সচল করা হয়েছে। তবে, আমরা এখন সেনাবাহিনীর সাথে টহল কাজে যোগ দিয়েছি। আমরা সব পুলিশ সদস্যরা ইউনিফর্ম পড়ে থানায় এসেছি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মো.ফয়েজ আহমেদ মুঠোফোনে বলেন, সেনা বাহিনীর সহায়তায় ৯টি থানাসহ ৭টি পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ও ফাঁড়িতে নিয়োজিত থানা প্রায় ছয় শতাধিক পুলিশ সদস্যই কর্তব্যকাজে যোগদান করেছে। পুলিশের সঙ্গে সেনা সদস্যরাও থানার সামনে পাহাড়া দিচ্ছে। শুরু মদন থানায় কার্যক্রম এখনো সচল হয়নি। আশা করা যাচ্ছে আগামীকাল শনিবারের মধ্যে ওই থানার কার্যক্রম সচল হয়ে যাবে। বিগত সময়ে ঘটে যাওয়া এসব ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, জনগণের কল্যাণেইতো পুলিশ নিয়োজিত। পুলিশ লেজুড়বৃত্তি চায় না। স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করার দাবিও জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :