Banglarnetro
Dr. Neem Hakim

দায়িত্বটা খেলোয়াড়দেরই নিতে বললেন দূর্জয়


বাংলার নেত্র প্রকাশের সময় : জুলাই ১০, ২০২৪, ৪:০০ অপরাহ্ণ / ৪২
দায়িত্বটা খেলোয়াড়দেরই নিতে বললেন দূর্জয়

সুযোগ-সুবিধায় কোনো কমতি নেই। দেশি কোচ, বিদেশি কোচ অহরহ আসা-যাওয়া করছে। দেশি-বিদেশি ট্রেনার বিসিবিতেই ঘুরপাক খায় সারা বছর। আজ এই প্রোগ্রাম তো কাল ওই প্রোগ্রাম। প্রতিযোগিতারও কমতি নেই। প্রতিদ্বন্দ্বীতাও হয় কমবেশি। তারপরও বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা নিজেদেরকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে কেন পারছেন না সেটা বিস্ময়কর ধাঁধা।

চলমান বিসিবির হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটকেও বিসিবি সকল সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে অনুশীলনের সুযোগ। ম্যাচ খেলার পরিবেশ এবং ভালোমানের পারিশ্রমিক। এবার তাদেরকে বিসিবি পাঠাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। যেখানে দুইটি চারদিনের ম্যাচ, তিনটি একদিনের এবং ছয়টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। ১৩ জুলাই এই দলটি অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে। যে দলে আছেন আফিফ, তানজিদ, জয়ের মতো জাতীয় দলে খেলা ক্রিকেটাররা। দীর্ঘ মেয়াদী চিন্তায় তাদেরকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হচ্ছে। সকল সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পরও তাদের উন্নতির জন্য নিজেদের দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান করলেন এইচপির প্রধান নাঈমুর রহমান দূর্জয়।

বুধবার (১০ জুলাই, ২০২৪) দলের সঙ্গে অফিসিয়াল ফটোসেশনে যোগ দেওয়ার পর দূর্জয় বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি যে, আমাদের প্রক্রিয়াটা ঠিকঠাক হোক। আমাদের সুযোগ-সুবিধা বোর্ডের তরফ থেকে বৃদ্ধি করা এবং  খেলার ভেতর থাকার যে সুযোগ সেটা আমরা ধরে রাখতে চাই। এজন্যই বললাম এ সুযোগগুলো কাজে লাগানোর দায়িত্ব খেলোয়াড়ের। আমরা শুধু তৈরি করে দিতে পারব। কিন্তু সেটা কাজে লাগিয়ে নিজেকে পরের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া বা পরের ধাপে নেওয়া এই মনোযোগ ধরে রাখা খেলোয়াড়ের দায়িত্ব।’

জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের এইচপিতে যোগ দান নিয়ে দূর্জয় যোগ করেন, ‘এখানে কিছু জাতীয় দলের যারা খেলছে, সেখানকার খেলোয়াড় নেওয়া হয়েছে। কারণ, ২০২৭ এ আমাদের যে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সফর আছে, ওই খেলাটাও কিন্তু ডারউইনে হবে। তাদেরও একটা প্রস্তুতি।  কারণ, অনেক সময় আমরা দেখি আমাদের নতুন খেলোয়াড় বা একেবারে প্রথমবার খেলতে গিয়ে একটা অচেনা পরিবেশে অভিষেক হচ্ছে। তাই সে জিনিসগুলো যেন না হয়, তার কারণে কিন্তু আমরা এইচপির প্রোগ্রামে প্রত্যেক বছরই একটা সফর থাকে।’

নিয়মিত এইচপির সিরিজ আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিলেন দূর্জয়, ‘আমরা ভবিষ্যতেও এটা চালিয়ে যেতে চাই, এ সিরিজটা। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে খেলোয়াড়দের জন্য সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা। সেটাকে কাজে লাগিয়ে খেলোয়াড়রা তাদের ভবিষ্যতের জন্য দেশকে সার্ভিস দেওয়া জন্য তৈরি করবে, সেটাই আমরা আশা করি।’

এইচপির হেড কোচ হিসেবে বিসিবি নিয়োগ দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান ন্যাথান হরিটজকে। কিন্তু তার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাংলাদেশে আসতে পারেননি। এই সিরিজে দলের প্রধান কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন কোলি কলিমোর। পেস বোলিংয়ে কোচ হিসেবে কলিমোর দায়িত্ব পালন করছিলেন।

Source link

স্বাস্থ্য বিভাগের আরো খবর

আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর